জাবেদ ইকবাল
ডুবে যাওয়া জাহাজে বা লঞ্চে, এমনকি গাড়িতেও বাতাস আটকে থাকে। এটাকে এয়ার পকেট বলে। এটা নতুন না, বাংলাদেশেও এই ঘটনা আগে হয়েছে। যথেষ্ট পরিমানে বাতাস থাকা, সেখানে এক বা একাধিক মানুষ থাকা, সময় মতো উদ্ধার হওয়া, এগুলির সম্ভাবনা অতি অতি কম, কিন্তু শূন্য না।
উলটে যাওয়া জাহাজে বাতাসের বাবলে মানুষ থাকা নিয়ে একটা সিনেমাও হয়েছে (পোসাইডন অ্যাডভেঞ্চার, ১৯৭২)। আমার সমবয়সীরা বিটিভিতে সেই সিনেমাও দেখেছেন, সেবা প্রকাশনী মনে হয় বইটার বাংলাও প্রকাশ করেছিল। সিনেমাটার ট্যাগ লাইন ছিল-
NMOᗡ ƎᗡISԀ∩ '˥˥ƎH
তারপর ২০০৬ -এ এটার রিমেক হয়েছে আবার।
সুতরাং বাংলাদেশে একজন মানুষের এভাবে বেঁচে যাওয়ায় বিজ্ঞানের সাথে কোনো সংঘাত নেই। [তবে আপনি যদি ভাগ্যে বিশ্বাস করেন, ঐ লোকের পা ধোঁয়া পানি কিনে মাথায় ঢালতে পারেন]
কিন্তু সময় আর এয়ার পকেটের আকারের মধ্যে সম্পর্কটা কী রকম?
একজন মানুষ দিনে ৫৫০ লিটারের মতো অক্সিজেন নেয়। ([https://www.sharecare.com/health/air-quality/oxygen-person-consume-a-day](https://www.sharecare.com/health/air-quality/oxygen-person-consume-a-day)।
বাতাসের এক পঞ্চমাংশ অক্সিজেন, সুতরাং মোট বাতাস লাগবে ২৭৫০ লিটার বা ২,৭৫০,০০০ ঘন সেন্টিমিটার। তিন দিলে লাগবে ৮,২৫০,০০০ ঘন সেন্টিমিটার। সেটার ঘণমূল নিলে আসে ২০২ সে.মি.। অর্থাৎ যদি ২ মিটার প্রতি বাহুর একটা ঘনক (কিউব) নেয়া হয়, তাহলে সেখানে তিন দিন বাঁচার মতো বাতাস থাকবে। মানুষ সাধারনের চাইতে কম অক্সিজেনেও বাচতে পারে, সুতরাং আরো ছোটো এয়ার পকেট হলেও এটা সম্ভব।
নাইজেরিয়ার উপকূলে আড়াইদিন ডুঁবে থাকা জাহাজ থেকে একজনকে উদ্ধার
https://www.youtube.com/watch?v=5R_0CjQV7YA
(বেঁচে যাওয়া মানুষটার মাথা অসম্ভব ঠান্ডা ছিল। আমি হলে সম্ভবত পাগল হয়ে যেতাম এই অন্ধকার জীবন্ত কবরে বসে বসে)
ইউটিউবে গাড়ির এয়ার পকেটের অনেক ভিডিও আছে।
পোসাইডন অ্যাডভেঞ্চার
https://en.wikipedia.org/wiki/The_Poseidon_Adventure_(1972_film)
জাবেদ ইকবাল,
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন