★কি কিউট একটা মেয়ে,তাই না?
অল্প বয়সী,অপূর্ব মুখশ্রী। 😍
এই মেয়ে নাকি পৃথিবী ছেড়ে যাবে,আজীবনের জন্য😥।
আর ফিরে আসবে না সে,মঙ্গলের বুকে নিজেকে উৎসর্গ করে দেবে।😥
মঙ্গলে যাওয়ার জন্য তাকে স্বীকার করতে হবে অনেক ত্যাগ।
কখনো বিয়ে করতে পারবে না সে।তার উপর আছে আরো অনেক নিষেধাজ্ঞা।😥
মানবজাতির কল্যাণের জন্য নিজের জীবনে ঝুঁকিতে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাহসী মেয়েটি।❤️
হ্যা।
হাজারো তরুণের ক্রাশ,হৃদয়ে ঝড় তোলা এলিসা কার্সনের কথা বলছি।।
মঙ্গলগামী প্রথম নারী,নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য।১২ বছরে যিনি নাসায় যোগদান করেন😲।নাসা অফিশিয়ালি ১৮ বছরের আগের কাউকে নভোচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না,তবে এলিজা কার্সনকে দিয়েছে,।কারণ তিনি অসাধারণ মেধাবী।🥰
২০৩৩ সালে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য যে অভিযান হবে,তার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে তাকে।🥰
এলিসা হবে মঙ্গলে পদার্পণ করা প্রথম মানুষ। তখন তার বয়স হবে ৩২।😎
আর মাত্র ১৩ বছর পরে একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে লাল গ্রহে পা রাখবে সে।
সেখানে হয়তো সে হারিয়ে যাবে অতল অন্ধকারে😥,আর ফিরে আসবে না😭।
তবুও সে ভীত নয়,অদম্য সাহসী এলিজা হবে মানুষকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দিশারী,বীর,অকুতোভয় নারী।💪★
কত ইমোশনাল একটা স্টোরি,তাই না?এর ছোট একটা মেয়ের এই বীরত্বপূর্ণ সাহস অন্তরে মমতার ঢেউ তোলে দেয়??
কিন্তু দুঃখের বিষয়,তার এই কাহিনী অনেকটা ফেইক এবং অতিরঞ্জিত ভুয়া একটি স্টোরি।
আসল তথ্যগুলো হলো-
এলিসা কোনো প্রকার মার্স মিশনের অংশ নন।
তিনি নাসা কিংবা কোনো স্পেস এজেন্সির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশও নন।শুধুমাত্র নাসা কর্তৃক আয়োজিত শিশু-কিশোর উপযোগী কিছু স্পেস ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন তিনি।নাসার সাথে তার কোনো অফিশিয়াল কানেকশন নেই।ব্লু বেরী নামে যে নাম তাকে নাসা দিয়েছে বলে রটানো হয়েছে,সেটা আসলে
কোনো এক ক্যাম্পে তার বেছে নেওয়া কল সাইন ছিল।এই নামে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও রয়েছে তার।
তিনি কিছু বই লিখেছেন এবং তাকে নিয়ে কিছু ডকুমেন্টারিও প্রকাশিত হয়েছে।এলিসা এখন একজন জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং এর মাধ্যমে প্রচুর উপার্জনও করেন তিনি।নাইকির জুতা প্রমোট করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফিল্ম ও ডকুমেন্টারিতে কাজ করে অল্প বয়সেই প্রচুর উপার্জন করেছেন।
তিনি নিজে বলে বেড়ান,তার স্বপ্ন হলো স্পেসে যাওয়া।হয়তো তিনি একদিন যাবেনও।।
কিন্তু এখনই তাকে নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি সীমা অতিক্রম করে গেছে।
বিশেষ করে তার মঙ্গলে যাওয়ার এই ফেইক ইমোশনাল স্টোরি অনেকের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।এলিসা এখন "হাজারো তরুণের হৃদয়ে ঝড় তোলা ব্যক্তিত্ব"।
নাসা পরিষ্কার বলে দিয়েছে,
" We have no official ties with Alyssa."
তিনি কোনো অ্যাস্ট্রোনাটও নন।বর্তমানে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অ্যাস্ট্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।
বাংলাদেশের কিছু বিজ্ঞান(!) গ্রুপে তাকে নিয়ে প্রচুর ইমোশনাল পোস্ট দেখা যায়। অনেক মালমশলা মিশিয়ে পরিবেশন করা হয় এসব গুজব।এলিসা বিয়ে করতে পারবেন না,অন্যদের মত জীবন যাপন করতে পারবেন না,অনেক নিয়ম-কানুন মানতে হবে,শরীরকে মঙ্গল অভিযানের জন্য ফিট করে তুলতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাকে নিয়ে আবেগী বাঙালির আবেগ যেন আর ধরে না!
তো,
এতদিন এলিসার ফেইক স্টোরি জেনে এসেছেন যারা,তারা কি এখন প্রকৃত সত্য জানতে পেরে দুঃখিত হবেন?নাকি আপনার ক্রাশ আপাতত কোথাও যাচ্ছে না,গেলেও যে আর ফিরবে না,এমন কোনো সম্ভাবনা নেই-এটা জেনে খুশি হবেন?
ক্রাশ খাওয়া পাবলিকগণ,
সিদ্ধান্ত আপনাদের উপর।
©তাজউদ্দিন আহম্মদ,
১৭-১২-২০২০,চট্টগ্রাম।
References:-
https://www.politifact.com/factchecks/2018/jul/20/blog-posting/nasa-prepping-17-year-old-become-first-human-mars/
https://www.snopes.com/fact-check/17-year-old-astronaut-training/
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Alyssa_Carson
https://www.nasa.gov/centers/armstrong/features/mars_generation.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন