মনিফ শাহ চৌধুরী
আমাদের অনেকেই আজকাল কলার রেডিয়েশন নিয়ে জানার পর হিসেব শুরু করে দিই যে কয়টা কলা খেলে মৃত্যু হতে পারে।
আমরা শুরুতে ধরে নেই ৩৫০০ mSv রেডিয়েশন আমাদের মেরে ফেলবে। একটা কলাতে রেডিয়েশন আসে পটাশিয়ামের আইসোটপ থেকে। সেই হিসেব করে বের করা প্রায় ৩৫ মিলিয়ন কলা প্রয়োজন মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট রেডিয়েশন শরীরে নিতে।
এখানে, আমরা একটা ব্যাপার মোটামুটি ভুলে যাই তা হল, পটাশিয়ামের নন-রেডিওএক্টিভ আইসোটপও কম ক্ষতিকর নয়। শরীরে পটাশিয়ামের ডোজ বেড়ে গেলে সেটাকে বলে Hyperkalemia. পটাশিয়াম আয়ন রক্তে বেড়ে গেলে সেটা হৃৎপিণ্ডের পেশীর সংকোচনে সমস্যা তৈরি করতে পারে যার কারণে অস্বাভাবিক হার্টবিট এবং মৃত্যুও হতে পারে।
একটা কলায় গড়ে ৪২০ মি.গ্রা. পটাশিয়াম থাকে। সাধারণত দিনে ৪৭০০ মি.গ্রা. এর বেশি খাওয়া উচিৎ না। অর্থাৎ, প্রায় এক ডজন কলা।
কিন্তু আমাদের কিডনি যথেষ্ট কর্মঠ। সুস্থ থাকলে এরা অতিরিক্ত পটাশিয়াম খুব সহজেই শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু একবারে ১৮০০০ মি.গ্রা. পটাশিয়াম বা ৪২ টা কলা খেলে সেই কাজ করা অনেক ক্ষতির হয়ে যায়। পটাশিয়াম রক্তে বাড়ে, হার্ট এটাক হয়, মারা যান।
তো, আমরা যা বুঝলাম, রেডিয়েশনে মরার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন কলা না ঠুসে মাত্র ৪০-৪৫ টা কলা ঠুসলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। এখানে আবার আরেকটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, একত্রে এতগুলো কলা খেতে গিয়ে দম আটকে মারা যাবেন না তো?
(সমাপ্ত)
মনিফ শাহ চৌধুরী,
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন