ঈগলের দুঃখের জীবন

নাঈম হোসেন ফারুকী





ঈগল অনেক বছর বাঁচে। ৭০ বছরের মতো


কিন্তু ৪০ বছর বয়স হলে তাকে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।


এই সময় তার থাবা অথর্ব হয়ে যায়

তার ঠোঁট বাঁকা হয়ে যায়

তার পাখা থ্যাত্থ্যারা হয়ে যায়


তখন তার হাতে দুইটা অপশন থাকে। মরো নাহলে খুব কষ্টের একটা কাজ করো


ঈগল সেকেন্ড অপশটা বেঁছে নেয়।

সে উঁচু একটা পাহাড়ে উড়ে যায়। তার নিজের ঠোঁট পাথরে বাড়ি মেরে মেরে ভাঙে।

আবার যখন নতুন ঠোঁট হয়, সে সেই ঠোঁট দিয়ে নিজের থাবার নখ তুলে নেয়।

এরপর যখন নতুন নখ হয়, সে পুরানা থ্যাত্থারা পালক তুলে ফেলে


এরপর নতুন পালক, নখ আর ঠোঁট নিয়ে ঈগল উড়াল দেয়।


এইটা পুরাপুরি ভুয়া গল্প।

ঈগল ৩০ বছরের মতো বাঁচে, ৭০ না।

তার ঠোঁট কেরাটিন দিয়ে তৈরি। সে নিয়মিত ঘষে এটাকে শার্প রাখে। এইভাবে ঠুকরে ঠোঁট ভাংলে সে না খেয়ে মরবে এটা নিশ্চিত। তার থাবার নখও কেরাটিন দিয়ে তৈরি, এরকম অথর্ব হয়ে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। আর কোন পাগল পাখি নিজের নখ এভাবে তুলতে গেলে রক্তক্ষরণে মারাও পরতে পারে, তাকে অবশ্যই আমাদের থামানো উচিত।

আর পালক নিজে থেকেই কিছুদিন পর পর পরে আর নতুন করে গজায়।


গল্পের মোরাল: এই গল্প পড়ে কেউ যদি নিজের চুল নখ টেনে ছিড়তে চায়, দাঁত হাতুড়ি মেরে ভাংতে চায়, তাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নেওয়া উচিত।


সোর্স:

https://www.reptilegardens.com/scales-and-tales/article/the-real-story-of-an-eagle 


নাইম হোসেন ফারুকী

ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন